জাপান থেকে মধুসূদন বলছি

এই বছর আমার জাপানে সপ্তম বছর। দুঃখজনক হলেও সত্য যে গত ৭ বছরে আমার ইংরেজি এবং জাপানিজ ভাষার যে চর্চা হয়েছে বাংলা একদমই হয় নি। গত ৭ বছরে বাংলাতে একটা পুরো বাক্য মনেহয় নিজের হাতে লিখিনি। এমন কিছু শব্দ আছে যেগুলোর জাপানিজ এবং ইংরেজি আমি জানি কিন্তু বাংলা জানি না।

আমি বিশ্বাস করি যে, যেকোনো মনুষ্যসৃষ্ট জিনিসের একটা মূল কার্যকারিতা থাকা উচিত। এক বছর পর ফেসবুকে যখন থেকে ফিরে আসলাম ২০২২ জানুয়ারি তে, তখন থেকে আমার ফেসবুককে একটা অকেজো জিনিস মনে হচ্ছিল। একদমই কাজের কিছু ছিল না এখানে। কিন্তু কালকে হটাৎ করে এটার একটা উপযোগিতা পেলাম।

ফেসবুকে আমার বেশীর ভাগ বন্ধু বাংলাদেশী। তাই এখন থেকে ফেসবুক ব্যবহার করবো আমার বাংলা ভাষার চর্চার জন্য। ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই সংশোধন করে দিবেন।

আরেকটি শেষ কথা। দুঃখজক হলেও সত্য যে ইতোমধ্যে কিছু মানুষ আমাকে মেসেজে জিজ্ঞাসা করছে যে আমি হঠাৎ কেন বাংলা ব্যবহার করছি। বাংলা ভাষা নাকি আমার ব্যক্তিত্বের সাথে যায় না। বাংলা ভাষা ব্যাবহার করলে নাকি মানুষ ভাববে আমি খ্যাত বা 'cringe'। আমরা জাতি হিসাবে এমন কেনো? নিজের মাতৃভাষার সাতে সম্পর্কটা এই পর্যায়ে কিভাবে চলে গেলো।

আমি সেই ব্যাক্তিকে দোষ দিব না। কারণ আমি নিজেও আমার মাতৃভাষাকে এতটা সম্মান দেইনি আগে। ৫০০০ কিলোমিটার দূরে বসে নিজেকে মধুসূদন মনে হচ্ছে।

Previous
Previous

My struggles with rock climbing

Next
Next

The blank sheet of paper